আমাদের এই ভিডিও টা অবশ্যই দেখো, আর লাইক ও শেয়ার করো!
একনজরে
১) মানে ভঞ্জন - প্রাক - প্রস্তুতি
২) মানেভঞ্জন থেকে টুংলুর দিকে - সান্দাকফু ফালুট গোর্কে ভারেং ট্রেক
৩) টুংলু থেকে সান্দাকফু - সান্দাকফু ফালুট গোর্কে ভারেং ট্রেক
৪) সান্দাকফু থেকে ফালুট - সান্দাকফু ফালুট গোর্কে ভারেং ট্রেক
৫) ফালুট থেকে গোর্কে - সান্দাকফু ফালুট গোর্কে ভারেং ট্রেক
৬) গোর্কে থেকে ভারেং - সান্দাকফু ফালুট গোর্কে ভারেং ট্রেক
নির্ঘণ্ট
প্রথমদিন - মানেভঞ্জন থেকে টুংলু
দ্বিতীয়দিন - টুংলু থেকে সান্দাকফু
তৃতীয়দিন - সান্দাকফু থেকে ফালুট
চতুর্থদিন - ফালুট থেকে গোর্কে
পঞ্চমদিন - গোর্কে থেকে ভারেং
আনুসাঙ্গিক সুবিধা - থাকা - থাওয়া - যাতায়াত ইত্যাদি
মানেভঞ্জন থেকে ফালুট পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের পথ আছে - সান্দাকফু পর্যন্ত রাস্তা বেশ ভাল - তারপর গাড়িতে খুব আরামদায়ক যাত্রা হবে না। আমরা অবশ্য প্রায় ৮১ কিমি পথ পাঁচদিনে হেঁটেই গেছি। সর্বত্র হোম-স্টে বা G.T.A-এর বাংলো আছে। সৌমিত কে ধন্যবাদ। ও সময় থাকতে সর্বত্র থাকার খুব ভাল ব্যবস্থা করেছিল। খাওয়া বেশ ব্যয়বহুল, তবে সহজলভ্য। বরষার আগে- পরে গেলে জোঁক থাকতে পারে। শুনেছি নুন-পুটলি খুব কার্যকর। তবে আমাকে জোঁকে খেলেও ২/৩ - ঘণ্টা পর রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষ কিছু করতে হয়নি। অর্ক-কে প্রেস- ব্যান্ডেজ দিতে হয়েছিল রক্তপাত বন্ধ করার জন্য।
পরিবেশ ও তাপমাত্রা
আমরা গেছিলাম অক্টোবরের মাঝামাঝি। ফালুতে প্রবল ঠাণ্ডা, সান্দাকফুতে-ও রাত ও ভোরের দিকে বেশ ঠাণ্ডা। আমার ধারনা যত ডিসেম্বর - জানুয়ারির দিকে যাবে, তত ঠাণ্ডা বেশী পাবে।
প্রয়োজনীয় পোশাক - পরিচ্ছদ
যেকোনো ট্রেকের ক্ষেত্রে এই বিষয় টি যেনে রাখা খুব জরুরি! গরম পোশাক কম নিলে - প্রবল ঠাণ্ডার সময় খুব কষ্ট, আবার বেশী নিলে - বোঝা বইতে হবে! দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য ১/২ ট্রাঊজার, ২/৩ টি হাল্কা টি-শার্ট নেওয়া জরুরী। ট্রেকের সময় হাল্কা টি-শার্ট / ট্রাঊজার সবচেয়ে আরামদায়ক। অতিরিক্ত ২/৩ জোড়া মোজা থাকা জরুরি। রাতে ও খুব ভোরে পড়ার জন্য - উলের মোজা, থার্মাল ইনার, গ্লাভস, বালাক্লাভা। বৃষ্টির থেকে বাঁচার জন্য পঞ্চ বা ফোল্ডিং ছাতা। হাল্কা অথচ ভাল গ্রিপের জুতো খুব জরুরী।
শুকনো খাবার
যেহেতু এই রুটে জলের অভাব আছে এবং কোন কোন জায়গায় টানা চড়াই, তাই লজেন্স, কিসমিস, কাজু, আমস্বত্ত ও খেজুর ও ১ লিটার জলের বোতল সঙ্গে থাকা খুব জরুরি। এছাড়া চিড়ে, ছাতু ও সাধারণ বিস্কুট পর্যাপ্ত পরিমাণে সঙ্গে থাকলে - সময় ও অর্থ দুয়ের-ই সাশ্রয় হবে।
এবার আমার সঙ্গে ঘুরে ফিরে দেখো, জায়গাটা কেমন লাগে। ভাল লাগলে অবশ্যই একবার যাবে, খুব অসুবিধে হবে না।
আমরা মানেভঞ্জনের পথে চলেছি - গাড়িতে।আমাদের টিমের সদস্য ও গাইড - ফালুটে |
সাহেব ও আমি - এনার উৎসাহেই আমার ট্র্যাকিং শুরু হয় |
কালু, টুবাই, আমি |
অর্ক |
চা - বাগান |
গ্রিন পাইন হোমস্টে |
পাহাড়ের ঢালে রূপের ডালি |
পাইনের ফাঁকে মেঘেদের লুকোচুরি |
আমি, অর্ক , সাহেব , কালু, টুবাই, টাপু |
নিউ জলপাইগুড়ি |
কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতে পারছিনা। এতদিনের এত ঘটনা। নানাবিধ পরিবেশ পরিস্থিতি - নানাবিধ মানুষজন। তবে সবমিলিয়ে প্রথমেই বকে দি - এককথায় অবিস্মরণীয়।
মানেভঞ্জনে আমরা পৌঁছলাম এবছর দুর্গাপূজার ঠিক পরেই। ট্রেক রুটের বিষয়ে কিছুই খবর নেওয়া হয়নি। চোদ্দ জনের টিম। ২৪ থেকে ৫৪ বছর - প্রায় সব বয়সী সদস্যরাই উপস্থিত এই টিমে। আমার ভরসা বলতে প্রসেঞ্জিত ও সৌমিত - এই দুই অভিজ্ঞ পর্বতারোহী এবং আমাদের তাপু আর টুবাই। কয়েকদিন আগের গঙ্গোত্রী থেকে গোমুখ ট্রেক এর অভিজ্ঞতাও এখনো তরতাজা।
মানেভঞ্জনে আমাদের থাকার ব্যবস্থা হল একটি হোমস্টে-তে। রাতে কাম্পফায়ার করে খাওয়া - দাওয়ার পর মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হল।
আমাদের যাত্রা শুরু কাল থেকে। লক্ষ্য টুংলু।
No comments:
Post a Comment
Share your love! Share your train of thoughts! I feel great to read your responses!