প্রায় হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে আমরা বাড়ি ফিরলাম। প্রথম দিকে রাস্তা ভয়ঙ্কর, প্রচুর ডাইভারসান। প্রায় কাঁচা পথ। রাতে এই পথে যাওয়া খুব বিপদজনক। পরদিন সকাল থেকে আবার শুরু। এবার পাহাড়ি জঙ্গলের পথে ভেসে চলা। দুধি থেকেই ফুল ট্যাঙ্ক করে নিয়ছিলাম। মোটামুটি জানা ছিল এই পথে পেট্রল পাম্প কম পাব। তবে কল্পপনাও করতে পারিনি, পেট্রল পাম্প থাকবেই না। প্রায় ৪ - ৫ ঘণ্টা, কোন পাম্প নেই, কোন খাবার দোকান নেই, মানুষজন খুব বেশি হলে ১০ জনকে দেখলাম এই পাঁচ ঘণ্টার পথে। বেতলার দরজা সেদিন বন্ধ ছিল, নয়ত আর একটা জাতীয় উদ্যান দেখার পালক আমাদের টুপিতে জোড়া হত। শেষ ছ-সাত ঘণ্টা, রাঁচির পর থেকেই, উন্নত হাইওয়ে। গাড়ি এবার ছুটবে ১০০ - ১২০ কিমিতে। চারদিক অন্ধকার। মাঝে আসে দলমা পাহাড়ের কুখ্যাত এলিফান্ট করিডর। তবে কখন হর্ন , কখন লাইট সিগন্যাল দিয়ে প্রায় ভোর তিনটে তে বাড়ি এলাম।
প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার গাড়িতে যাবার অভিজ্ঞতা আগে কখন হয়নি। তবে এই দীর্ঘ ড্রাইভের রোমাঞ্চ কে অতিক্রম করে মনের মধ্যে টের পেয়েছি পরম শান্তি আর শ্রদ্ধা।
প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার গাড়িতে যাবার অভিজ্ঞতা আগে কখন হয়নি। তবে এই দীর্ঘ ড্রাইভের রোমাঞ্চ কে অতিক্রম করে মনের মধ্যে টের পেয়েছি পরম শান্তি আর শ্রদ্ধা।
শুধু মা গঙ্গা, মা যমুনা বা মা সরস্বতীর জন্য নয়, আমাদের মনের এই প্রশান্তি ও শ্রদ্ধার উৎস মুল চোখে দেখা শত-সহস্র সাধারণ ভারতীয়।
বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য তো আমরা অনেক বার পড়েছি।
মহাকুম্ভে এসে চোখে দেখলাম তার প্রকৃত রূপ।
জয় মা গঙ্গা
জয় মা যমুনা
জয় মা সরস্বতী
জয় দেবাদিদেব মহাদেবের জয়
No comments:
Post a Comment
Share your love! Share your train of thoughts! I feel great to read your responses!